যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন চীনা রাষ্ট্রদূত

ভারত না চীন, কার মন বেশি রাখবে বাংলাদেশ, এনিয়ে যখন ভারতের মিডিয়া বেশ সরব হয়েছিল, তখন শুরু হলো এই বিতর্ক, বেইজিং না ওয়াশিংটন কার দিকে একটু হলেও ঝুকে থাকবে বাংলাদেশ?
তবে এসবের সবটাই চলছিল প্রধানত মিডিয়ায়। এবারে তাতে একটা নতুন বাঁক নিল বলেই প্রতীয়মান হয়। কারণ, সম্ভবত এই প্রথম বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মি. লি জিমিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তার ভাষায়, ‘স্নায়ুযুদ্ধ যুগের মানসিকতা’ পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মূল্যায়ন: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তাদের চীনবিরোধী ‘ইন্দো–প্যাসিফিক স্ট্রেটেজি’–তে কাছে পেতে চাইছে।
ঢাকার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাংলাদেশের পক্ষে এর আগে একটা জোট নিরপেক্ষ মনোভাব পরিষ্কার করা হয়েছে। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশের সমর্থনকে কথিতমতে ভারত– মার্কিন দৃষ্টিকোণ থেকে সুনজরে দেখা হয় না। আবার যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত (কোয়াড) সমর্থিত ইন্দো–প্যাসিফিক কৌশলে বাংলাদেশের সমর্থনকে চীন সুনজরে দেখে না।
অবশ্য নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকরা বলছেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এর থেকেও উত্তপ্ত এবং পাল্টাপাল্টি বক্তৃতা–বিবৃতি একদম ডাল–ভাত। এটা তেমন কোনো ঘটনাই নয়।
কিন্তু এবারে একটা নতুন ব্যাপার আছে। বিষয়টির ভিন্নমাত্রা আছে। কারণ এই প্রথম সরাসরি বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাস্প্রতিক সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়া বেশ সরব হওয়ার পর বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঢাকার কোনো সভা বা সাংবাদিক সম্মেলনে নয়, রীতিমতো একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দিলেন। এবং তাতে পরোক্ষ অথচ দৃঢ়ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুঁশিয়ারিই উচ্চারণ করা হলো।
‘কূটনীতির ফ্রন্টে এটা অবশ্যই একটি লক্ষণীয় ডেভলপমেন্ট। কারণ গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত চীনের রাষ্ট্রদূতদের দৃষ্টিভঙ্গীতে সন্দেহাতীতভাবে তাদের বিদেশ নীতির সুচিন্তিত প্রতিফলন ঘটে থাকে।’ মন্তব্য করেছেন একজন বিদেশ নীতি পর্যবেক্ষক। তার কথায়- ‘এখন এটা দেখার বিষয় যে, ওয়াশিংটনের তরফে ঠিক কী প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়।’