করোনাভাইরাস: টিকা আনতে বেক্সিমকোর চুক্তি

ভারত থেকে করোনাভাইরাসের টিকা এনে বাংলাদেশে সরবরাহের জন্য সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এসআইই) সঙ্গে বিনিয়োগ চুক্তি করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
দেশের ওষুধ খাতের শীর্ষ এই কোম্পানি বলছে, এই চুক্তির আওতায় ভ্যাকসিনের জন্য এসআইইতে বিনিয়োগ করবে বেক্সিমকো। এই বিনিয়োগ বিবেচিত হবে ভ্যাকসিনের ‘অগ্রিম দাম’ হিসেবে। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস হবে বাংলাদেশে এসআইইর ওই ভ্যাকসিনের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’।
ভারতে তৈরি সম্ভাব্য টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য বাংলাদেশ ‘প্রস্তুত’ বলে সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা দেওয়ার দশ দিনের মাথায় শুক্রবার বেক্সিমকোর এই চুক্তির ঘোষণা এল।
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই চুক্তির মাধ্যমে এটা নিশ্চিত হয়ে গেল, বাংলাদেশেও এই ভ্যাকসিনগুলো আমরা আনতে পারব।”
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করা টিকার পরীক্ষা ও উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটি অফ ইন্ডিয়া। বর্তমানে ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতে কোভিশিল্ড নামের ওই টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে।
এই টিকার ১০০ কোটির বেশি ডোজ উৎপাদন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহের জন্য এসআইআই ইতোমধ্যে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার এবং গেটস ফাউন্ডেশন ও গ্যাভির সঙ্গে আংশীদারিত্বে পৌঁছেছে।
সালমান এফ রহমান বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আগে থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য ‘বুকিং’ দিয়ে রাখছে। আমাদের কিন্তু অক্সফোর্ডের সাথে কেনো… সেরাম ইনস্টিটিউটের সুবিধাটা হচ্ছে, তারা শুধু অক্সফোর্ড না, তারা তিনটা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করতেছে।”
এখন এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটিরশিপ পাওয়ায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এই ভ্যাকসিনগুলো বাংলাদেশে আনতে পারবে, সেটাই এই চুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হল বলে জানান সালমান।
“এখন যেটা আমাদেরকে ওদের সাথে নেগোশিয়েট করতে হবে যে কত কোয়ানটিটি আনব, কী প্রাইসে আনব, প্রাইভেট সেক্টরের জন্য কী প্রাইস হবে, সরকারের জন্য কী প্রাইস হবে…।
“একটা তো সেকশন হবে, যারা টাকা দিয়েও কিনতে চাইবে। এবং যারা টাকা দিয়ে কেনার এফোর্ট করতে পারে, তাদের তো সরকার ফ্রি দেওয়ার কোনো মানে হয় না। সরকারেরও তো রিসোর্সেস সীমিত।”
বেক্সিমকোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন যখন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাবে, তখন যেসব দেশ সবার আগে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন পাবে, সেই তালিকায় বাংলাদেশকেও অন্তর্ভুক্ত করবে এসআইআই।