শিপ্রার জামিন মঞ্জুর, সিফাতের বিষয়ে আদেশ আগামীকাল

টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ নিহতের পর গ্রেপ্তার হওয়া তাঁর সহযোগী শিপ্রা দেবনাথকে জামিন দিয়েছেন আদালত। অপর সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামীকাল এ বিষয়ে আদেশের জন্য রাখা হয়েছে।
আজ রোববার কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. দেলোয়ার হোসেন জামিনের শুনানি শেষে শিপ্রা দেবনাথের জামিন মঞ্জুর করেন। অপর বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে সাইদুল ইসলাম সিফাতের জামিনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামীকাল এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে। পৃথক পৃথক আদালতে শুনানি শেষে এসব আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে শিপ্রা দেবনাথের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অরূপ বড়ুয়া এবং সাহেদুল ইসলাম সিফাতের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম টিপু।
এ বিষয়ে শ্রিপ্রা দেবনাথের আইনজীবী অরূপ বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘নারী বিবেচনায় মামলার প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত, তাঁকে (শিপ্রাকে) জামিন দিয়েছেন আদালত।’
ওই ঘটনায় পুলিশের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামীকাল সোমবার এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।
গত ৩১ জুলাই রাতে সিনহা নিহতের ঘটনার পর পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কক্সবাজার কারাগারে আছেন বেসরকারি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ।
নিহত সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে কক্সবাজারে প্রামাণ্যচিত্র তৈরির কাজ করছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির তিনজন শিক্ষার্থী— শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাহসিন রিফাত নূর। তাঁদের মধ্যে তাহসিন রিফাত নূরকে অভিভাবকের কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সাহেদুল ইসলাম সিফাতের বিরুদ্ধে দুটি মামলা এবং শিপ্রা দেবনাথের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।
গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনার বিচার চেয়ে গত বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
এর আগে গত ২ আগস্ট বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ সবাইকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। আর ওসি প্রদীপকে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
এরপর গত বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ সাত সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে বাদীপক্ষ তাদের আটক ও পরে রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলালকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন। আর বাকি চারজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। গতকাল চারজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।