বুয়েটে সব রাজনীতি নিষিদ্ধ
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।
শুক্রবার বিকেলে বুয়েটের অডিটরিয়ামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে এ ঘোষণা দেন তিনি।
সাইফুল ইসলাম বলেন, বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি থাকবে না। আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে এবং মামলার খরচ বুয়েট কর্তৃপক্ষ বহন করবে। বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে সরকারকে চিঠি দেওয়া হবে। বুয়েটে র্যাগিং বন্ধ হবে।
উপাচার্য বলেন, ‘তোমাদের দাবিরে প্রেক্ষিতে মামলার এজাহারভুক্ত ১৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।’
আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েটের আন্দোলনকারীরা ১০ দফা দাবি পেশ করে। আবরারের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার, আবরার হত্যা মামলার সব খরচ এবং ক্ষতিপূরণ বুয়েট থেকে বহ করান, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্বল্পতম সময়ে মামলা নিষ্পত্তি, অবিলম্বে অভিযোগপত্র প্রকাশ, বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনে জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিল এবং বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি ছিল তাদের দশ দফার মধ্যে। এ নিয়ে শুকবার বিকেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্য কথা বলেন। সেখানে তিনি এসব দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে নিজের অবস্থান জানান।
এর আগে গত বুধবার বুয়েটে শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বুয়েট ক্যাম্পাসে আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে এ তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. এ কে এম মাসুদ।
আববার হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে এ পর্যন্ত দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের সাথে ১১ জনের (বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা) সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাদের ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। ছাত্রলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আল-নাহিয়ান খান বলেন, ‘আমরা যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, সেই তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের সাথে ১১ জনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পেয়েছে। তাদের সাংগঠনিকভাবে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’